Friday, February 13, 2009

মনিপুরি ভাষায় বাংলা কবিতা পাঠ

বাংলা ভাষার অপরাপর ভাষাগুলোর ন্যায় মনিপুরি ভাষা বা মীতৈ লোন বা মৈতৈ লোন অন্যতম একটি ভাষা। এ ভাষায় কথা বলে বা ভাষাভাষীর সংখ্যা প্রায় এক কোটি। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই এ ভাষাভাষীর সংখ্যা প্রায় সত্তুর হাজার। বিশ্ব সাহিত্যের প্রাচীন সাহিত্য কর্মের মধ্যে এ ভাষার সাহিত্যও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ ভাষায় অনূদিত হয়েছে প্রায় বিশ্বের সকল মৌলিক সাহিত্যকর্ম। বাংলাদেশেও মনিপুরি সাহিত্য বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো কারণ ইতোমধ্যেই কিছু কিছু কাজ বাংলা সাহিত্যাকাশে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এখানে বাংলা সাহিত্যের ক'জন উজ্জ্বল নক্ষত্রের বাংলা কবিতার অনুবাদ দেয়া হলো, পাশাপাশি পাঠকের সুবিধার্থে বাংলা কবিতাটিও পত্রস্থ করলাম। পত্রস্থিত কবিতাগুলো মুতুম অপু সিংহ সম্পাদিত এক বসন্তের ভালোবাসা নামক দ্বি-মাত্রিক কাব্যগ্রন্থ হতে সংকলিত - মাইবম।



জীবনানন্দ দাশ

আকাশলীনা

সুরঞ্জনা, ওইখানে যেওনাকো তুমি,
বোলো নাকো কথা অই যুবকের সাথে ;
ফিরে এসো সুরঞ্জনাঃ
নক্ষত্রের রুপালী আগুন ভরা এ রাতে ;

ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে ;
ফিরে এসো হৃদয়ে আমার ;
দূর থেকে দূরে - আরো দূরে
যুবকের সাথে তুমি যেয়ো নাকো আর।

কি কথা তার সাথে ? তার সাথে।
আকাশের আড়ালে আকাশে
মৃত্তিকার মতো তুমি আজঃ
তার প্রেম ঘাস হ'য়ে আসে।

সুরঞ্জনা,
তোমার হৃদয় আজ ঘাসঃ
বাতাসের ওপারে বাতাস-
আকাশের ওপারে আকাশ।



আকাশলীনা

সুরঞ্জনা, মফমদুদা চতখিগনুকো নহাক,
শারুরনু ওয়ারী অমুক পাখং মহাক্কা ;
হল্লক্লো সুরঞ্জনাঃ
থওয়ান মীচাক্কী মঙালনা পুম্লবা অহিংসিদা।

হল্লক্লো লক্ষাংসিদা, ইপোম নায়না ;
হল্লক্লো ঐগী থম্মোয়নুংদা ;
লাপ্পদগী লাপ্না- অতৈগসু লাপথোক্না
পাখংদুগা অমুক চত্খ্রনু নহাক।

করি ওয়ারীনো মহাক্কা ? মাক্কা
আতিয়াগী মরুমদা আতিয়াদা
লৈবাকগুম্না নঙ ঙসিসুঃ
মহাক্কী নুংশিবদি শজিক ওইরক্লে।

সুরঞ্জনা,
নঙগী থম্মোয়দি ঙসি শজিকঃ
নুংশিত্কী ওয়াংমদা নুংশিত্-
আতিয়াগী ওয়াংমদা আতিয়া।


[ভাষান্তর: অয়েকপম বিজন]




শামসুর রাহমান

উত্তর

তুমি হে সুন্দরীতমা নীলিমার দিকে তাকিয়ে বলতেই পারো
'এই আকাশ আমার'
কিন্তু নীল আকাশ কোনো উত্তর দেবেনা।

সন্ধ্যেবেলা ক্যামেলিয়া হাতে নিয়ে বলতেই পারো,
'ফুল তুই আমার'
তবু ফুল থাকবে নীরব নিজের সৌরভে আচ্ছন্ন হয়ে।

জ্যোত্স্না লুটিয়ে পড়লে তোমার ঘরে,
তোমার বলার অধিকার আছে, 'এ জ্যোত্স্না আমার'
কিন্তু চাঁদিনী থাকবে নিরুত্তর।

মানুষ আমি, আমার চোখে চোখ রেখে
যদি বলো, 'তুমি একান্ত আমার', কী করে থাকবো নির্বাক ?
তারায় তারায় রটিয়ে দেবো, 'আমি তোমার, তুমি আমার'।




পাউখুম

ফজরবী নঙনদি অতিয়াদা য়েংঙগা হায়বা ঙমগনি
'আতিয়াসে ঐগীনি'।
অদুবু হিগোক মচুগী আতিয়াদি পাউখুম পিরক্লোই।

সন্ধ্যাওয়াইদা খুত্তা ক্যামেলিয়া পাইরগা হায়বদি ঙমগনি,
'লৈ নঙ ঐগীনি'।
অদুবু লৈদি তুমিন্না মশাগী মনমদা ঙাওদুনা লৈগনি।

নহাক্কী শঙ্গায়দা থাবল চঙক্লবদি,
নহাক্কী হায়বগী হক লৈ 'থাবল নঙ ঐগীনি'
অদুবু থাজদি পাউখুম পিদনা লৈগনি।

ঐদি মীওইবনি, ঐগী মীত্ত্তা মীত্ থম্লগা
হায়রবদি নঙনা 'নঙসে সুপ্নগী ঐগীনি' করম্না তুমিন লৈগনি ?
থওয়ান মিচাক ময়ামদা পাউ চেনগনি 'ঐসে নঙগীনি, নঙসে ঐগীনি'।


[ভাষান্তর: মাইস্নাম রাজেশ]





মহাদেব সাহা


চিঠি দিও

করুনা করেও হলে চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও
আঙুলের মিহিন সেলাই
ভুল বানানেও লিখো প্রিয়, বেশী হলে কেটে ফেলো তাও,
এটুকু সামান্য দাবী চিঠি দিও, তোমার শাড়ির মতো
অক্ষরের পাড় বোনা একখানি চিঠি।
চুলের মতোন কোন চিহ্ন দিও বিস্ময় বোঝাতে যদি চাও
সমুদ্র বোঝাতে চাও, মেঘ চাও, ফুল পাখি, সবুজ পাহার
বর্ননা আলস্য লাগে তোমার চোখের মতো চিহ্ন কিছু দিও !
আজো তো অমল আমি চিঠি চাই, পথ চেয়ে আছি,
আসবেন অচেনা রাজার লোক
তার হাতে চিঠি দিও, বাড়ি পৌছে দেবে।
এক কোনে শীতের শিশির দিও এক ফোঁটা, সেন্টের শিশির চেয়ে
তৃণমুল থেকে তোলা ঘ্রান
এমন ব্যস্ততা যদি স্তব্ধ করে একটি শব্দই শুধু লিখো, তোমার কুশল !
ওইতো রাজার লোক যায় ক্যম্বিসের জুতো পায়ে, কাঁধে ব্যাগ,
হাতে কাগজের একগুচ্ছ সীজন ফ্লাওয়ার
কারো কৃষ্ণচুড়া, কারো উদাসীন উইলোর ঝোঁপ কারো নিবিড় বকুল
এর কিছুই আমার নয় আমি অকারন
হাওয়ায় চিত্কার তুলে বলি, আমার কি কোন কিছুই নাই ?
করুনা করেও হলে চিঠি দিও, ভুলে গিয়ে ভুল করে একখানি
চিঠি দিও খামে
কিছুই লেখার নেই তবু লিখো একটি পাখির শিস
একটি ফলের ছোটো নাম,
টুকিটাকি হয়তো হারিয়ে গেছে কিছু পাওনি খুজে
সেইসব চুপচাপ কোনো দুপুর বেলার গল্প
খুব মেঘ করে এলে কখনো কখনো বড় একা লাগে, তাই লিখো
করুনা করেও হলে চিঠি দিও, মিথ্যা করেও হলে বলো
ভালোবাসি।



চিঠি ইরকউ

চানবিদুনা ওইরবসু চিঠি ইরকউ
চেখাউদা হাল্লগা থারকউকো তনৌরবী খুত্ত্তুনা।
ময়েক লাল্লবসু ইরকউকো নুংশিবী, হেঞ্জিনখ্রগা ইবদা কথতলু অমুকসু,
অদুমক্তদা হায়জরিবসিনি- চিঠি ইরকউ, নঙগী লৈফনেকগুম্লবা
ময়েক্কী লৈরোংনা মপাল লোল্লবা চিঠিমত্তং।
চিঠিদুদা ফোঙনিংলগা অংকপা ওয়ারোল য়েক্লকউকো নঙগী অমুবা শম্লাংমত্তং।
সমুদ্র খঙহনগেরা ? লৈ-উচেক-শংবানরাব চীংদোল ?
লীবা তল্লবসু নঙনা য়েক্লকউকো নঙগী অমুবা মিত্স্নাগুম্বা করিনো'মা।
ঐদি ঙসিসু থোত নৌরবা নঙগী খুত্ত্তুনা ইরকপা নুংশিরবী চিঠিমত্তংবু,
খৌরাংনা ঙাইরি তাম্লবা মাইকৈ পাংদুনা, লাক্কনি শক খঙদ্রবা নিংথৌগী মনায়
চিঠি অদু পিরকউ মাঙোন্দা, য়ৌহঞ্জরক্কনি শোয়দনা।
চিঠিগী মচি অমাদা মনম নৃংশিবা সেন্টকী মহুত্তা
হাপ্পকউকো ইংথম থাগী লিক্লা মরিকমত্তং তিংথৌখোংদগী লৌখত্পা মনমগা লোয়ননা।
য়াম্না চিল্লবসু নঙনা ইরকউকো ময়েক অমত্তা ওইরবসু
নঙগী অফা-ফত্তা খঙহন্দুনা।
য়েংঙু, আদা চতলি নিংথৌগী মনাই খাকি ফিজেত্ শেত্ত্তুনা
নাকলদা খাউ অমা য়াল্লগা, খুত্তা চে'গী লৈরাং কয়া পায়দুনা।
কনাগী কৃষ্ণচুড়া - কনাগীনা উইল চবুন অমা কনা অমগীনা নুংশিরবা বকুল
অসি'পূম্বা ঐগীতদি নত্তে
ঐদি অমত্তা য়াওদবরা ?
চানবীদুনা ওইরবসু চিঠি ইরকউ, কাওথোক্তুনা ওইরবসু
চিঠি মত্তং পিরকউকো চেখাউদা হাপ্তূনা।
করিমত্তা হাপনিঙায় লৈত্রবসু , ইরকউকো উচেকমগী খোন্থাং
পিক্ল লৈরাংমগী নুংশি কোলোয়
করিগুম্বা পোত্শক অমা মাঙখিদুনা থিবা ফঙদ্রে
ইরকউকো অদুগুম্বা অরোনবা ওয়ারী কয়া কয়া
কৈদৌনুংদা নোংনা কুইনা চুরক্লগা য়াম্না চিক্না থোকই ইশা ইদোমতা।
অদুননি হায়জবা চিঠি ইরকউ, চানবিদুনা ওইরবসু চিঠি ইরকউ।
চিরোলদুনা ওইরবসু অমুক্তং হায়য়ুকো
নুংশিজৈ।


[ভাষান্তর: এ.কে.শেরাম]





হেলাল হাফিজ


প্রস্থান

এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো।

এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালীর তাল পাখাটা
খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো।
ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যাথিত
ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো।
কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে
কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে
পত্র দিয়ো, পত্র দিয়ো।

আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেয়ো, আপত্তি নেই।
গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কি তাতে ?
আমি না হয় ভালোবেসে ভুল করেছি, ভুল করেছি
নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
পাঁচ দুপুরে নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায় ?

এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,
এক মানবী কতোটাই বা কষ্ট দেবে।



তামখ্রবী

নঙ হৌজিক কদায়দা লৈরি করম্না লৈরি, চিঠি পীরকউ।

মেলাগী নুংথিল অমদা লৈখিবা কোন হুমায় অদো
থেংলা অহিংদা নখুত্তা নঙগী করম্না লৈরি, চিঠি পীরকউ।
ক্যালেন্ডারগী করম্বা লমায়না ঐগুম্না য়াম্না নুঙায়তে
মীত্ লংনা য়েংলকই নঙোন্দা, চিঠি পীরকউ।
করম্বা ওয়াহৈনা নুমিত্ চুপ্পা ঙংলি নঙগী থম্মোয় নাফমদা
করম্বা ওয়াখলনা নুংশি ঈহৌদা হি-দৌরি
চিঠি পীরকউ, চিঠি পীরকউ।

নত্রগা তনিক্না কাউবিখো, অয়েত্পা লৈতে।
মাংখ্রবসু ঐগীনি, কনাগী করিনো ?
ঐতনবু নুংশিরুবনা লানখিবনি, শোয়খিবনি
অপত্পা লৈগী লৈহিক তৈরুনা
হাতখিবনি মীচিক মীখোল তাদ্রবা নুমিত্ য়ুংবদা, করি কায়বগে ?

পুন্সি অমনা লৈখা তারবদা কয়াম্না'মুক তাগদগে,
মীওইবী অমনা কয়াম্না'মুক ওয়াহনগদগে ।


[ভাষান্তর: মুতুম অপু]






রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ


এ কেমন ভ্রান্তি আমার

এ কেমন ভ্রান্তি আমার !
এলে মনে হয় দূরে স'রে আছো, বহুদূরে,
দূরত্বের পরিধি ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে আকাশ।
এলে মনে হয় অন্যরকম জল হাওয়া, প্রকৃতি,
অন্য ভূগোল, বিষুবরেখারা সব অন্য অর্থবহ-
তুমি এলে মনে হয় আকাশে জলের ঘ্রান।

হাত রাখলেই মনে হয় স্পর্শহীন করতল রেখেছো চুলে,
স্নেহ- পলাতক দারুন রুক্ষ আঙুল।
তাকালেই মনে হয় বিপরীত চোখে চেয়ে আছো,
সমর্পন ফিরে যাচ্ছে নগ্ন পায়ে একাকী বিষাদ- ক্লান্ত
করুণ ছায়ার মতো ছায়া থেকে প্রতিচ্ছায়ে।
এলে মনে হয় তুমি কোনদিন আসতে পারোনি..

কুশল শুধালে মনে হয় তুমি আসোনি
পাশে বসলেও মনে হয় তুমি আসোনি।
করাঘাত শুনে মনে হয় তুমি এসেছো,
দুয়ার খুল্লেই মনে হয় তুমি আসোনি।
আসবে বললে মনে হয় অগ্রিম বিপদবার্তা,
আবহাওয়া সংকেত, আট, নয়, নিম্নচাপ, উত্তর, পশ্চিম-
এলে মনে হয় তুমি কোনদিন আসতে পারোনি।

চ'লে গেলে মনে হয় তুমি এসেছিলে,
চ'লে গেলে মনে হয় তুমি সমস্ত ভূবনে আছো।



করি মিত্রংনো অসিবু

অসিবু করি মিত্রংনো ঐগী!
নঙনা ইনাক্তা লাক্লগা খল্লি চত্খ্রবোয় থাপ্না, অথাপ্পদা,
অতৈগসু থাপ্নরকখি- থাপথোকখি আতিয়াগুম।
নাক্তা লাক্লগা নঙনা হোংদোকখি ইশিং-নুংশিত, প্রকৃতি
হোংদোকখি পৃথিবীগী শক্তম, বিষুবরেখা
অতিয়াদা নোঙগী মনম ফংঙি নঙগা ফঙনবদা।

নখুতনা শোক্লকপদা খনখি শোকত্রবোয়
নুংশি য়াওদ্রবা খুইজিল্লবা খুতনা পায়বগুম।
য়েঙকপদা ঐবু খল্লি য়েঙবিরক্তবগুম,
অওয়া-শুক্লবা মাইথোংদা চতখি নুংশি মরী ইবানিগী
অমুবা মীরুমগুম, মীরুমদগী মী- মীরুম।
লাক্লগা নঙনা খল্লি লাকখিদ্রবোই কৈদৌঙৈ..

ফরিবরা হঙলকপদা খল্লি লাকত্রিবোই নঙ,
নাক্তা ফম্লবদা খল্লি লাকত্রিবোই নঙ।
থোঙ নোম্লবদা খল্লি লাক্লবোই
থোং হাংবগা খল্লি লাকত্রবোই।
লাক্কনি হায়রকপদা নঙনা খল্লি অওয়া পাউদমগুম
আবহাওয়া সংকেত, নিপাল, মাপল, লো-প্রেসার, অওয়াং, নোংচুপ-
নঙনা লাক্লবদি খল্লি লাকপা ঙমদ্রিবোই কৈদৌঙৈ।

চত্খ্রগা নঙনা খল্লি লাক্লম্মি নঙ
চত্খ্রগা নঙনা খল্লি মলেম শিন থুংনা লৈরি নঙ।


[ভাষান্তর: শেরাম নিরঞ্জন]





পূর্নেন্দু পত্রী


কথোপকথন

: তুমি আজকাল বড় সিগারেট খাচ্ছ শুভঙ্কর।
: এখনি ছুঁড়ে ছেলে দিচ্ছি।
কিন্তু তার বদলে ?
: বড্ড হ্যাংলা। যেন খাওনি কখনো ?
: খেয়েছি।
কিন্তু আমার খিদের কাছে সেসব নস্যি।
কিন্তু কলকাতাকে এক খাবলায় চিবিয়ে খেতে পারি আমি।
আকাশটাকে ওমলেটের মতো চিরে চিরে
নক্ষত্রগুলোকে চিনে বাদামের মতো টুকটাক করে
পাহাড়গুলোকে পাপড় ভাজার মতো মড়মড়িয়ে
আর গ ঙ্গা ?
সে তো এক গ্লাস সরবত।
: থাক। খুব বীর পুরুষ।
: সত্যি তাই।
পৃথিবীর কাছে আমি এইরকমই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরন।
কেবল তোমার কাছে এলেই দুধের বালক
কেবল তোমার কাছে এলেই ফুটপাতের নুলো ভিখারী
এক পয়সা, আধ পয়সা কিংবা এক টুকরো পাউরুটির বেশী
আর কিছু ছিনিয়ে নিতে পারিনা।
: মিথ্যুক।
: কেন ?
: সেদিন আমার সর্বাঙ্গের শাড়ী ধরে টান মারনি ?
: হতে পারে।
ভিখারীদের কি ডাকাত হতে ইচ্ছে করেনা একদিনও ?



ওয়ারী শান্নবা

: নঙ হন্দক মরকসে য়াম্না হাক্না সিগারেট থক্লে শুভঙ্কর।
: হৌজিকমক লংথোকখ্রগে।
অদুগা মদুগী মহুত্তি ?
: লাইমসু ওক্তেদা। চাবা থকপগাক ফঙদ্রবা নঙবু ?
: ফংঙি।
অদুবু ঐগী অরাম্বগী নাক্তাদি মদু'পুম্বা কৈশু নত্তে।
কলকাতা'সিবু ঐদি খুবাম'মদা লোইনা চাথোকপা ঙম্মি।
অতিয়া'সিবুনা ওমলেট তৌনা মচেত্ মচেত্ শেদত্ত্তুনা
থওয়ানমিচাক ময়াম্বুনা চিনা বাদাম মরুগুম
চীংশাং পরেংবুনা ক্রেম ক্রেম লাউনা পাপরদৌনা
অদুগা গঙ্গা ?
মাদি শরবত গ্লাস অমতনি।
: খংঙে খংঙে, য়াম্না থৌনা ফবনি নঙসে।
: তশেংনমক্কীসুনি।
মলেম অপুম্বদা ঐদি অসিমক্নি- অকি অখঙগী মশক।
নঙগী নাক্তা লাক্লগতনি ঐনা অঙাং অপিক ওইরিবা
নঙগী ননাক্তদি ঐসে লম্বী মপানগী মখুত্ ততলবা চাকনিবনি
অনা-মা, সিকি-মা নত্রগা তল মচেত্'মদগী হেন্না
করিসু মুন্দুনা লৌবা ঙমদ্রিবনি নঙোন্দগী।
: চিনথিবা।
: করিগী ?
: নহালতসু ঐগী হকচাংগী ফি পাইদুনা চিংবদুদি ?
: ও, অদুবুরো।
চাকনিবসু কৈদৌঙৈদসু ডাকাত ওইনিংঙকপা য়াদ্রাও ?


[ভাষান্তরঃ এ. কে. শেরাম]

No comments: